প্রিয় চাকরি প্রার্থী ভাই ও বোন, আমাদের সকলের একটি সমস্যা আছে যা সহজেই বৃহত্তর জব সমাধানে পাঠানোর উপায় সম্পর্কে। আমরা কিভাবে সহজেই জব সমাধান পড়তে পারি তা জানতে চাই। কিছু লোক বলে থাকে যে যখন বৃহত্তর জব সমাধান দেখে তখনই মাথা ব্যথা করে। আর আরেকটি সমস্যা হচ্ছে কিছু সময় পর পড়া খুব আনন্দদায়ক হয় না। আমাদের মনে একটি আলোচনা থাকে যে, এই বৃহত্তর জব সমাধানে কোন বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয় না, যার ফলে আমরা সহজেই এই বৃহত্তর জব সমাধানগুলি মনে রাখতে পারি না।
কিন্তু আমরা যদি এই জব সলুশন পড়ার জন্য কিছু টিপস্ বা কৌশল অবলম্বন করি তাহলে অনায়াসে চাকরির পরীক্ষার সবচেয়ে বড় বই বা মোটা বই অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করে ফেলতে পারি। আর এই জব সলুশন পড়ার সাথে সাথেই আমরা নোট করে ফেলব তাতে কি হবে আমাদের পরে যে কোন সময় খুব অল্প সময়ে জব সলুশন শেষ করে ফেলতে পারি।
জব সলুশন পড়ার নিয়ম বা কৌশল–
- ভাগ করা
আমরা এই বইটিকে প্রথমে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ৪৫ দিন যেমন: ১০ বিসিএস থেকে বর্তমান বিসিএস এর একটি ভাগ। তারপর পিএসসির আন্ডারে যত গুলো চাকরির প্রশ্ন আছে সেগুলোকে আরেক টা ভাগে করব। আবার প্রাথমিক শিক্ষা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন কে আরেকটা ভাগ করব। বাকি অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আরেক টা ভাগ করব। তাহলে মোট ভাগ হবে ৪ টি।
- রুটিন তৈরী
এখন এই ৪ টি ভাগকে আমরা আলাদা আলাদা করে সময় বা দিন ভাগ করবো। তবে মনোযোগ সহকারে এই জব সলুশন শেষ করতে গড়ে আমাদের ৪৫ দিন এর মধ্যে কভার হয়ে যাবে। আমি এই ৪৫ দিন এর একটা রুটিন বলে দিচ্ছি। ৫ দিনকে আমরা অতিরিক্ত সময় নিবো তার কারণ এই ৫ দিন আমরা মডেল টেষ্ট দিব। বাকি ৪০ দিন প্রত্যেক ভাগ কে আমরা ১০ দিন করে সময় দিব। তাছাড়া যদি কারো ম্যাথ আর ইংরেজি সমাধান করতে কঠিন মনে হয় তাহলে আমরা আরোও কিছু দিন সময় বাড়িয়ে দিয়ে আরেক টি রুটিন তৈরী করব।
- নোট করা
আমরা নোট করব বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান ও কম্পিউটার এবং ম্যাথ। যাতে আমরা রিপিট প্রশ্ন গুলোকে এড়িয়ে চলতে পারি এবং জব সলুশন বইকে আরো ছোট করতে পারি। তাই নোট করতে হবে। নোট করার ফলে আমরা এই জব সলুশনের একটা সাবজেক্ট ভিক্তিক জব সলুশন বানাতে পারবো।
- সাম্প্রতি জব সলুশন
তাছাড়া যদি কারো বাসায় বা বাড়িতে ইন্টারনেট থাকে তাহলে আমরা ইউটিউব থেকে সাম্প্রতি যে নিয়োগের প্রশ্ন থাকবে তা আমরা ইন্টারনেটে পাব। তার জন্য আরেক টা নোট করতে হবে। যাতে করে আমাদের একটা পরিষ্কার একটা ধারণা থাকে বর্তমান সময়ে কেমন প্রশ্ন হতে পারে।
- কেটে ছোট করা
তারপর ও যদি এই মোটা বইটা যদি দেখলেই মাথা ঘুড়ায় তাহলে বই কে কেটে ছোট করে নিয়ে তারপর পড়ব আর নোট করব।
- ইতিবাচক
ইতিবাচক মনোঃভাব রাখতে হবে কিন্তু মনে রাখতে হবে পড়তে আমাকে হবেই, চাকরি আমাকে পেতেই হবে। এতো মোটা বই থাক বা তার চেয়ে আরো মোটা বই থাকুক না কেন আমি পড়ে শেষ করবই।
- পরিকল্পনা করে পড়া
পরিকল্পনা করে পড়ব। যদি ম্যাথ এবং ইংরেজি সমাধান না বুঝি তাহলে আমরা অনলাইলে ইউটিউবের সহায়তা নিব যদি ইন্টারনেট না থাকে তাহলে কাছে কোন পরিচিত কেউ বা শিক্ষক থাকে তাহলে তার সাহায্য নিব ।
মনে রাখবেন পৃথিবীতে সব কিছুর আর শেষ আছে তাই বলে মনোবল হারানো যাবে না বই যতই মোটা বা কঠিন থাকুক না কেন তার শেষ হবেই হবে। এই পোষ্টটি তোমার ফেসবুক টাইম লাইনে প্রাইভেট বা পাবলিক যে কোন ভাবেই শেয়ার করে রাখতে পারো তাতে করে তুমি পুনরায় আবার জানতে পারবে জব সলুশন পড়ার নিয়ম বা কৌশল ।
শুভকামনা